Thursday, September 8, 2011

কেন এত ভালবাসি

আজ হারিয়ে যাওয়া পথে
চলেছি রাতের তারার সাথে
জোছনার মাঝে ছড়িয়ে আছে
তোমারই ছোঁয়ার সেই সপ্নিল রাত কত সুখ অনুভূতি
জানি না কেন এত ভালবাসি

কেন তুমি দূরে রও, কেন তুমি অবুঝ হও
কেন চলে যাও আড়ালে
অজানা কোনো সুরের মোহে ডেকেছিলে আমায় পাশে
কেন তবু চাও হারিয়ে যেতে
নিরবে দাড়িয়ে শুনছো কি তুমি
বলনা আমায় কেন মন ভার কেন নিয়েছো আড়ি
বুঝি না কেন এত ভালবাসি

কতো রাত কতো রাত হারিয়েছে, আলসে চাঁদ - সে কোথায় যেন ডুবে গেছে
নিরবে কতো বৃষ্টি ঝরেছে অঝোর আকাশের বুক থেকে
তুমি নেই বলে এই ছন্দহীন প্রকৃতি
তুমি নেই বলে আজ নির্বাক পৃথিবী
ফিরে এসো তুমি আজ ভুলে অভিমান ভুলে অভিযোগ সবই
জানি না কেন এত ভালবাসি

এলোমেলো এলোমেলো ভাবনাগুলি প্রতিধ্বনি হয়ে ফেরে
হৃদয়ে বাজে বিরহের সুর, কল্পনায় কেঁদে ওঠে
সইতে পারিনা কেন এই দূরে থাকা
চারিপাশে খুঁজে ফিরি তোমার হাসির ছোঁয়া
কাছে এসো না, মোছো অকারন ওই ছলোছলো আঁখি
বুঝি না কেন এত ভালবাসি

Thursday, July 7, 2011

সাজু

কাক ডাকা ভোর। আলো পুরোপুরি ফোঁটে নাই এখনও। একটা দু'টা রিকসা চলছে রাস্তায়। মাঝে মধ্যে হুস্ করে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। টুকরি নিয়ে সাজু দ্রুত পায়ে হেটে চলেছে সাজু। গন্তব্য কারওয়ান বাজার। কঠিন একটি দিনের শুরু, প্রতিদিনের মতো ক্রেতাদের বাজার সদাই টুকরিতে বহন করেই তার দিনটা যাবে। কিন্তু তার মতো টুকরিওয়ালা মেলা। ক্রেতা পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। কাজ শেষে বঞ্চনাতো আছেই। সাজুর মনে পড়ে যায় ওই দিনের কথা। ভারি টুকরি নিয়ে তাকে যেতে হয়েছিলো বেশ দূর, মগবাজারে ডাক্তার গলি। লোকটা পথে ক্ষণে ক্ষণে ধমকাচ্ছিলো তাকে জোরে হাঁটার জন্য। তাড়াতাড়ি হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছিলো সাজু। টুকরির সবকিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছিলো রাস্তায়। তখন লোকটা সাজুর চুল ধরে কি মারটাই না মারলো। ঠোঁট কেটে রক্ত বেড়িয়েছিলো, কিন্তু কিছুই বলে নাই, শুধু ক্ষীণ স্বরে মা'কে ডেকেছিলো কয়েকবার। মা কাছে থাকলে বলা যেত কষ্টের কথা।

কিশোরগঞ্জের এক অজপাড়াগায়ের ছেলে সাজু। শৈশবেই বাবা তার মারা গেলো কলেরাতে ভুগে। মা'র কতো সাধ ছিলো ছেলেকে লিখিয়ে পড়িয়ে মানুষ করবেন! অভাবের তাড়নায় মায়ের সাধটা অপূর্ণই রয়ে গেল, ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়াশোনা করে ক্ষান্ত দিয়ে দূরসম্পর্কের চাচা সুরুজ মিয়ার হাত ধরে চলে আসলো ঢাকা শহর। । ট্রেন থেকে নেমে সুরুজ মিয়া তাকে নিয়ে এসেছিলো কারওয়ান বাজার। বলেছিলো 'বুঝলা ভাতিজা, এইডা হইলো ঢাকা শহর, এইহানে টেকা উড়ে কিন্তু কেউ কারো না, তুই একটু খাড়া, আমি চা খইয়া আসি'। সুরুজ মিয়া আর আসলো না। সাজুর জীর্ণ পুটলিতে মায়ের দেয়া কয়েকটা টাকা আর শুকনা চিড়াই সম্বল। বারবার মায়ের কথা মনে পড়েছিলো। বিদায়ের আগে মা বলেছিলো, 'ভয় পাইসনা বাপজান আমার, কারও ক্ষতি করিস না, ভিক্কা করবি না, ভয় পাইলে আল্লারে ডাকিস। তোরে আল্লা দেখবো।' মায়ের কথা চিন্তা করে দুচোখ ভিজে উঠেছিলো।

ওই রাতটা কারওয়ান বাজারে কোনমতে একটা আড়তের পাশে শুয়ে কাটিয়ে দেয় সাজু। তবে সুরুজ মিয়ার কথা পুরা সত্য না। আড়তের মালিক মোসলেম ব্যপারী সাজুকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে দিয়ে বলেছিলো 'ওই ছেড়া এইখানে ঘুমাইলে কেউ তোরে খাওন দিবো না, নিজে কইরা খাইতে হইবো, আমারেও করতে হয়'। সাজুর মলিন চেহারা দেখে তার ভেতর বোধয় করুনা হয়েছিলো। 'ছেড়া শুন, এই টুকরিডা লইয়া যা, সারাদিন মাল টানবি, যখন একটা টুকরি নিজে কিনা লইতে পারবি তহন আমারডা আমারে দিয়া যাস মনে কইরা'।

সেই থেকে টুকরিটাই হলো তার জীবিকা। প্রথমদিকে সে রাতে থাকতো ফুটপাতে। তারপর থেকে সে থাকে মগবাজারে একটা পুরানো গ্যারেজে, সাথে বাস করে তার মতোই ছিন্নমূল কিছু মানুষ। কেউ মাটি কাটে ইট ভাঙ্গে, কেউ রিকসা চালায় আর কেউ তার মতো টুকরি বয়। ভিন্ন ভিন্ন পেশা কিন্তু ভাগ্যের কতো মিল! সাজুর টুকরি বইতে ভালো লাগে না কিন্তু তাকে কেউ অন্য কাজ দিতে চায় না। সাজু মনে মনে সবসয়ম ভাবে 'মা তুমি দেইখো আমি একটু বড় হইয়া লই তারপর বড় দেইখা একটা রিসকা কিনমু, অনেক টেকা হইবো, তোমারে শাড়ি কিনা দিমু, তহন আর কষ্ট হইবো না, তোমারে ঢাকায় নিয়া আসুম।'

সাজু পা চালায়। কারওয়ান বাজারটা এই ভোরবেলাতেই ক্রেতা বিক্রেতায় যেন উত্সবমুখর। শুক্রবার ছুটির দিন, ভিড় একটু বেশিই। টুকরি বইবার সুযোগ পেয়ে যায় সহজেই। আজকে দিনটা আল্লা ভালোই রাখছে। একে একে বেশ কয়েকটা ক্রেতা পেয়ে যায়। ব্যস্ত দিন কাটতে থাকে। একটু বিশ্রাম পেয়ে সাজু বসে গামছায় মুখ মোছে। 'ওই পোলা যাবি ওয়্যারলেস মোড়', ব্যস্ত হাতে তাকে ডাকছে একজন ক্রতা। 'হ যামু' বলে উঠে পড়ে সে। হঠাৎই তার চোখ পড়ে একটু দূরে, একজন লোক কিছু একটা কিনতে গিয়ে মানিব্যাগটা অসাবধানে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। সাজু এগিয়ে যায়, মাটি থেকে ওটা উঠায়। ততক্ষনে লোকটা ঘুরে তাকিয়েছে 'ওই শালা তুই আমার মানিব্যাগ লাইছোস' বলেই কিছু বলার আগে সাজুর গালে সজোরে চড় কষায়। সাজু দাড়িয়ে থাকার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না। পড়ে যায় মাটিতে। হাতে তার মানিব্যাগটা এখনও ধরা। 'কি হইছে, কি হইছে' 'ধর ধর পকেটমার' বলে আশেপাশে থেকে মানুষজন ছুটে আসে। 'আরে এই শালা আমার মানিব্যাগ লইছে' বলেই লোকটা সাজুর পিঠে একটা লাথি মারে। একে একে চারপাশ থেকে আরও কয়েকটা বর্বর পা সাজুর ছোট শরীরটাকে পিষ্ট করে দেয়। 'মার শালারে, দেখছেন এই পোলা ছোট থেকেই কিভাবে পকেটমার হইছে' ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন বলে উঠে। সাথে কয়েকজন তাতে সাঁয় দেয়। অবোধ মানুষেরা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে সমাজের মিথ্যা বিষ বের করতে থাকে।

কতক্ষণ এভাবে পড়েছিলো সাজুর মনে নাই। সাজুর অচেতন দেহটাকে ঘিরে বর্বরদের উল্লাস একসময় থেমে গিয়েছিলো। চোখ খুলে সাজু দেখলো সে হাসপাতালে, পাশে মোসলেম ব্যপারী। 'তুই চুরি করলি কেনরে ছেড়া, আমারে কইতি, আমি তোরে কাম দিতাম'। সাজু আধবোজা চোখ মেলে তার দিকে তাকায়। 'আমি চোর না সাব, ওনারে ওনার টেকার ব্যাগ দিতে গেছিলাম, ওইডা পাইড়া গেছিলো' সাজু কাঁদতে থাকে 'মায়ে আমারে কইছে মাইনষের উপকার করতে, কারও ক্ষতি করতে না'। মোসলেম ব্যপারী বুঝে, তার হাত ধরে বলে 'তুই ঘুমা'। সাজু দু'চোখ বন্ধ করে। তার মনে পড়ে মায়ের কথা। 'মা তুমি কই মা, আমি ব্যথা সইয্য করতে পারি নাগো মা, তুমি একটু দেইখা যাও মা, আমারে একটু ধইরা আদর দিয়া যাও'। সাজুর মনের কথাগুলা ব্যথাগুলা চোখের জলে নিরবে ঝরে পড়তে থাকে। সন্ধ্যার আগে আগে সাজু মারা গেল।

দমকা বাতাসে জানলার ধারে কেরোসিন কুপিটা হঠাৎ নিভে গেল। অজানা আতংকে সাজুর মা'র বুকটা ধ্বক করে উঠে। বাইরে বৃষ্টি। দূরে মসজিদে আজান দিতেছে। মাগরিবের ওয়াক্ত। 'আল্লা তুমি আমার পোলাডারে ভালো রইখো, কতদিন ওরে দেখি না, ওরে একটু আদর করতে পারি না, ও আইলে আলু দিয়া মুরগির ঝোল রাইন্দা খাওয়ামু, খুব পছন্দ করে সে' মায়ের চোখে পানি জমে উঠে। ছেলের বিরহে মা'র বুকটা ফেটে যেতে চায়। ধীর হাতে কুপিটা আবার জ্বালায়। নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেছে। দূরে সন্ধ্যাতারাটা বার'কয়েক মিটিমিটি করে জ্বলে কেন যেন হঠাৎ নিভে যায়। আস্তে আস্তে বৃষ্টির ধাঁচটা কমে যায়। কিন্তু মায়ের চোখের অশ্রুধারা বয়েই যেতে থাকে।

Sunday, June 5, 2011

Away and Away Into The Blue

Recharging stuffs, repacking for the flight
Preparing myself again to swap my day and night
All the city with all the light
Will stay behind like a sparkle on the corner of my sight

My heavy heart beats slow and calm
Remembering all the sweet people surrounding me with joy and love so warm
I knew the days were numbered but I have to smile
To hide the sorrow, to hide my tears and fears for a while

Over the mountains and planes with birds and clouds so white
Smiles on my people's faces will shine as the fullmoon as bright
Every word echo in my mind like a waterfall with a cascading height
But I need to leave all my sweetest things behind and nothing feels right
Will I be able to bear pain to depart? I might...

স্বর্গ

'দুইটা টাকা দেন গো স্যার', হঠাত্ তন্দ্রাটা চটে যায় মামুনের। জ্যামে প্রতিদিনই আটকে থেকে বাসে বসে বসে ক্লান্তিতে তন্দ্রা মতো এসে যায়। আজ যেন সেটা একটু বেশিই।

'দুইটা টাকা দেন গো স্যার, লেবুগুলা নিয়া যান, মিষ্টি লেবু'

মামুন ছোট মেয়েটার মুখের দিকে তাকায়। বয়স চার হবে হয়তো। উস্কোখুস্কো চুল, মলিন কালশিটে পড়া গাল, তারও মুখে ক্লান্তির অভিব্যক্তি। সারাদিন রোদের নিচে ছুটোছুটি করে লেবু বিক্রি করে। এই বয়সে তার সারাদিন ছুটোছুটি করে খেলা করার কথা ছিলো, মাতিয়ে রাখার কথা ছিলো চারপাশ। কিন্তু ভাগ্য তার এই ক্ষুদ্র জীবনটাকে এখানে টেনে নিয়ে এসেছে।

মামুনের চোখের ভাব ছোট মেয়েটা বুঝতে পারে না। তার সময় মামুনের সময় থেকে অনেক মূল্যবান এই মুহূর্তে। সে চলে যেতে উদ্যত হয়।

'এই দাড়া, কয়েকটা লেবু দে', মামুন ১০ টাকার একটা নোট বের করে আনে পকেট থেকে। উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ছোট মেয়েটার চোখ। ক্লান্তিটা যেন উবে যায়। দ্রুত ভাংতি বের করতে উদ্যত হয় সে।

'না না রেখে দে পুরাটা, ভাংতি লাগবে না'

মেয়েটা মামুনের মুখের দিকে তাকায়। তারপর তার মুখে হাসি ফুটে উঠে। চোখ দুটায় যেন কৃতজ্ঞতা ভরে উঠে। মামুন খেয়াল করে হাসিটা বেশ মিষ্টি। সে লেবুগুলো মামুনের হাতে দিয়ে নোটটা নিয়ে দৌড়ে চলে যায় দূরে রাস্তার পাশে। মামুন দেখতে পেল সেখানে একটা ছোট বাচ্চা কোলে নিয়ে শীর্ণকায় একজন মহিলা বসে লেবু ব্যাগে ভরছেন। উনি বোধহয় মেয়েটার মা, চেহারার আদল দেখে তাই মনে হলো। মেয়েটা ১০ টাকার নোটটা তার মাকে দিলো, হাত নেড়ে নেড়ে মাকে কিছু একটা বললো, কোন একটা খুশির ঘটনা যেন ঘটেছে, এই সামান্য টাকাগুলার জন্যই নিশ্চয়। তারপর মেয়েটা বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে আদর করে একটা চুমু খেলো। একটু দোলালো, হাত নেড়ে নেড়ে মুখভঙ্গী করে কিছু একটা বললো। বাচ্চাটাও খিলখিল করে হেসে ছোট ছোটা হাতপাগুলা নেড়ে তার বোনকে কিছু একটা বলতে চাইলো। নিজের ভাষায় বোনকে ভালোবাসা দিলো হয়তো।

রাস্তার ধারে এই দৃশ্যে মামুনের চোখে একটু পানি এসে গেলো। তার দিনটা বিভিন্ন কারনে খুবই খারাপ গিয়েছে। তার বিপর্যস্ত ক্লান্ত মনটা এই ছোটা দুইটা শিশুর কাজকর্ম দেখে হঠাত্ ভালো হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ তাকিয়ে রাইলো তাদের দিকে। শহুরে কংকালসার মানুষেরা প্রকৃতিকে হয়তো ঝেটিয়ে বিদায় করতে চেয়েছে কিন্তু প্রকৃতি তার ভালোবাসার ছোয়া শহরের আনাচে কানাচে ছিটিয়ে রেখেছেই। বাস চলা শুরু করলো, দ্রুত থেকে দ্রুততর, জ্যাম ছুটে গেছে। মামুনের সামনে থেকে দৃশ্যটা সরে যেতে থাকলো, না চাইলেও মনে জমে আসতে শুরু করলো সারাদিনের জমে থাকা চিন্তুা, ভবিষ্যতের চিন্তা। চারিদিকে অর্থহীন গতিময়তা তার মনকে আরও অবশ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর হয়তো ভুলে যাবে ওই দৃশ্যের কথা কিন্তু সে জানে রাস্তার পাশের ছোট্ট স্বর্গটা থেকেই যাবে সবার জন্য, একটু চোখ মেলে খুজে নিতে হবে শুধু।

Sunday, February 14, 2010

রোদেলা আকাশ

রোদেলা আকাশ, ফুলের সুবাস,
ভেসে আসে ওই সুদূর থেকে
পাহাড় চূড়ায় ছেড়া ছেড়া মেঘ
আকাশের নীলে, ওই সবুজের মাঝে

তোমাকেই খোঁজে এই মন
ছিলে তুমি পাশে যখন
ভালবেসে বলেছো তখন
যাবেনা ছেড়ে এ ভুবন

চোখ বুঁজে আমি হারিয়ে যাই
কোন অজানায়, কোন ভাবনায়
আজ নেই তুমি পাশে আমার
হারিয়ে গেছো দূর অজানায়

নদীর স্রোতে, পাখীর গানে
ভোরের কুয়াশায় এলো শিশিরে শ্রাবণ
সাদা সাদা কাশফুল কেপে কেপে ওঠে
তোমায় ভেবে, শুধু তোমায় খুঁজে

মেঘ হয়ে হাসছো কি তুমি
ওই নীল আকাশের কোনে
তারা হয়ে জ্বলছো কি তুমি
মিটিমিটি নক্ষত্রের মাঝে

তোমার স্মৃতি

তোমাকেই ভালবেসে, ওই চোখেতে চোখ রেখে আমি দেখেছিলাম এই পৃথিবী
অভিমানে চলে গেলে, আমায় একা ফেলে, আর বলে গেলে, তুমি নও আমার
কতরাত কেটে গেল নির্ঘুম তোমার আশায়, তবু এলে না, ফিরে আজো
চার দেয়ালের মাঝে, বিষাদময় এ দিনগুলো, কাটছে একা, বড় এলোমেলো

চাই না আমি সুখের আশা, চাই না ভালবাসা
থেমে যাওয়া এই জীবনে, শুধুই হতাশা
একা বসে ভাবি, নিরবে পথ চেয়ে
ফেলে আসা দিনগুলো, কখনও পাবো কি দেখা?

এই মনে আজ তুমি শুধু তুমি কেন দেখা দাও
ওই আকশের নীলে কেন তুমি হারিয়ে যাও
এই বেদনা হৃদয়ে, মনের কান্না আজ জমে আছে কতো যে
শেষ বিকেলের রোদে তোমারই স্মৃতি শুধুই ফিরে আসে

হিমেল ভোরের শুকনো পাতাগুলো মৃদু বাতাসে ঝরে এলোমেলো
নদীর ঢেউয়ের মাঝে যেন ক্লান্তি ভেঙ্গে পড়ে, অশ্রু হয়ে বৃষ্টিধারা
সময় গিয়েছে থেমে, একাকী এই আমি, রয়ে গেছি শুণ্য আজ এই ঘরে
বেদনা জেগে ওঠে কেন ক্ষনে ক্ষনে এ মনে, কেন পারিনা ভুলতে তোমায়